রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২৪ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম: প্রথম অ্যাকাউন্ট খুলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) পরিচালিত ‘সীমান্ত ব্যাংক লিমিটেড’-এর তফসিলি ব্যাংক হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকার পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে বৃহস্পতিবার এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মাত্র কয়েকদিন পরে আমাদের ঈদুল আযহা। সীমান্ত ব্যাংকের উদ্বোধন এই বাহিনীর সকল সদস্যের জন্য আমার ঈদের শুভেচ্ছা উপহার।” শেখ হাসিনা ২২১ বছরের ঐতিহ্যবাহী বাহিনী বিজিবির পরিচালনায় এই ব্যাংকের উদ্বোধন করতে পেরে নিজের আনন্দের কথা প্রকাশ করেন এবং বিজিবি আরও নতুন নতুন ‘উপার্জনশীল প্রকল্প’ গ্রহণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে প্রধানমন্ত্রী সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর নতুন এই ব্যাংকের ফলক উন্মোচন করেন। ৪০০ কোটি টাকা অনুমোদিত এবং ১০০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন নিয়ে গঠিত সীমান্ত ব্যাংক লিমিটেডকে তফসিলি ব্যাংক হিসেবে তালিকাভুক্ত করে গত ১০ অগাস্ট গেজেট প্রকাশ করে সরকার। এরমধ্য দিয়ে অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের মতো কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ তৈরি হয় এ ব্যাংকের জন্য। সীমান্ত ব্যাংকের মালিকানা থাকবে বিজিবি কল্যাণ ট্রাস্টের হাতে। ঢাকার জিগাতলায় সীমান্ত স্কয়ারের কাছে নির্মিত নতুন ভবনে এর প্রধান কার্যালয়।
এ বছরই খুলনা, সিলেট, সাতক্ষীরা, ময়মনসিংহসহ ছয়টি স্থানে সীমান্ত ব্যাংকের শাখা খোলা হবে। আর আগামী বছরের মধ্যে আরও ২০টি শাখা খোলার লক্ষ্য ঠিক করেছে কর্তৃপক্ষ। এই ব্যাংক বিজিবি সদস্য এবং তাদের পরিবারের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে বলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “এখানে নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডেও যথেষ্ঠ অবদান রাখতে পারবে।” এনআরবি ব্যাংকের এমডি মোখলেছুর রহমানকে ইতোমধ্যে সীমান্ত ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পদাধিকারবলে এর পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হবেন বিজিবির মহাপরিচালক। সেনাবাহিনী পরিচালিত ট্রাস্ট ব্যাংকের আদলে নতুন এই ব্যাংকের কার্যক্রম চলবে।
এই ব্যাংকে চাকরির ক্ষেত্রে বিজিবির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যরা অগ্রাধিকার পাবেন। ঋণের ক্ষেত্রেও তারা বিশেষ সুবিধা পাবেন। স্বনির্ভরতা অর্জনে সরকার প্রতিটি বাহিনীকে সহয়তা করবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, “আজ যে সীমান্ত ব্যাংক চালু হচ্ছে তা বিজিবি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের একটি স্বনির্ভর প্রতিষ্ঠান।”